পরেশ দেবনাথ,কেশবপুর,যশোরঃ যশোরের কেশবপুরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্তে বাঁধা দেওয়ায় বখাটেদের হামলায় মিজানুর রহমান মুকুল (৩০) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। রবিবার (১০ নভেম্বর-২৪) বিকেলে তিনি কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে কেশবপুর সদর ইউনিয়নের মূলগ্রামের মৃত আয়ুব আলী সানার ছেলে মিজানুর রহমান মুকুল বলেন, উপজেলার মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে গত ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তিনি বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে পৌরসভার ভোগতী এলাকার সাকিব হোসেন, শিহাব হোসেন, ইমন হাসান, সারিফ হোসেন, আব্দুর সাফা, তানভীর হোসেন, রাফিদ, আবু রায়হান, রকি পৃথক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলে তাদের বাঁধা দিলে তার (মিজানুর রহমান মুকুল) উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করতে উদ্যত হয়। বিষয়টি দেখে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে তিনি কেশবপুর শহরের হাসপাতাল রোডে তার নিজস্ব ভবনের চলমান কাজ দেখতে গেলে ওই বখাটেরাসহ আরও কয়েকজন সেখানে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ওই বখাটেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়া কেশবপুর প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনকালে ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নিজাম উদ্দীন, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা আশরাফ আলী সানা, মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, শিক্ষক নাজিম উদ্দীনসহ শতাধিক নারী-পুরুষ।