মোজাম্মেল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার ফাওড়া গ্রামের হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম কবিরাজের বিরুদ্ধে একই গ্রামের সাংবাদিক মোজাম্মেল হক লিটন (৪২) সহ কয়েক জন কে জাদু মন্ত্রদিয়ে (বান-টোনা) প্রাণনাশের চেষ্টা ও ক্ষতি গ্রস্থ
করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক লিটন চাটখিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ফাওড়া গ্রামের হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম কবিরাজের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর সাংবাদিক লিটন চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থানার এসআই আমজাদ হোসেন গত ৩ নভেম্বর ঘটনা তদন্ত করার জন্য ফাওড়া গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে সাংবাদিক লিটন সহ উপস্থিত লোকজন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে গেলে জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পুলিশের উপস্থিতে লিটনের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের কে নিবৃত্ত করে। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জাহাঙ্গীর কবিরাজের বিরুদ্ধে কুফরি ও তাবিজ কবজের মাধ্যমে গ্রামের অনেকের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ উত্থাপন করেন। পরে এস আই আমজাদ হোসেন উভয় পক্ষকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বুধবার থানায় বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে ঘটনার মীমাংসা না হওয়ায় পুনরায় এক সপ্তাহ সময় দিয়ে তাদের কে এলাকায় মীমাংসার পরামর্শ দেন। বুধবার রাতে সাংবাদিক লিটন চাটখিল প্রেস ক্লাবে এসে উপস্থিত সাংবাদিকের নিকট জানান, থানার এসআই আমজাদ হোসেন ঘটনার সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই আমার ধারণা হচ্ছে জাহাঙ্গীর তাকে ম্যানেজ করে নিয়েছে সেকারনে তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনাতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে হাফেজ জাহাঙ্গীর আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। অভিযোগের বিষয় চাটখিল থানা এসআই আমজাদ হোসেন বলেন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম ঝাড় ফুক দেয় সত্য, তবে লিটনের ক্ষতি তিনি করেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল বাশার, নির্বাহী সম্পাদক: মীর মোশাররফ হোসেন, বার্তা সম্পাদক : মেহেদী হাসান রিপন
সতর্কীকরণ : এই পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।