1. admin@dailyjessorerkontho.com : admin :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

চাটখিল থানার ওসি তদন্তের বিরুদ্ধে চোরদের সহযোগিতা করে ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ  

দৈনিক যশোরের কণ্ঠ
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ২৮ বার পঠিত

মোজাম্মেল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি:

চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকারের বিরুদ্ধে চোরদের সহযোগিতা করে সিএনজি গাড়ির ব্যবসায়ীকে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সিএনজি গাড়ির মালিক মোঃ হাসেম নোয়াখালীর পুলিশ সুপারের কাছে রোববার বিকেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ফাওড়া গ্রামের মৃত. আফাজ উদ্দিনের ছেলে সিএনজি গাড়ির ব্যবসায়ী মো. হাসেমের একটি সিএনজি গাড়ি চুরি হয়। পরবর্তীতে হাসেম জানতে পারে ঐ সিএনজি গাড়ি পাশ্ববর্তী হিরাপুর গ্রামের জহির (৪৫), মানিক (১৯) ও ফয়সাল (২০) সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। হাসেম তার গাড়ি দাবি করলে সংঘবদ্ধ ঐ চোরেরা বলে, তাদের হোন্ডা ছিনতাইয়ের সঙ্গে হাসেমের ড্রাইভার জড়িত তাই তারা এই সিএনজি দিবে না। পরবর্তীতে হাসেম চাটখিল থানায় গিয়ে ওসি’র পরামর্শে অভিযোগ দায়ের করে। হাসেমের অভিযোগের ভিত্তিতে চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) সিএনজি উদ্ধারের জন্য খরচাপাতি দাবি করলে, হাসেম তার দাবিতে রাজি হয়ে ঘটনাস্থলে সিএনজি উদ্ধারের জন্য যায়। সেখানে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে সংঘবদ্ধ চোরেরা হাসেমের উপর আক্রমণের চেষ্টা করে। এসময় ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার চোরদের সাথে কথা বলে হাসেমের ড্রাইভার কে হোন্ডা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে। তবে সিএনজি জব্দ বা উদ্ধার না করে চোরদের হেফাজতে রেখে চলে আসে। পরবর্তীতে তিনি সিএনজি ও ড্রাইভার কে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানায় রেফার করে। হাসেম আদালতের মাধ্যমে তার সিএনজি বুঝে পেলেও তার গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, ব্যাটারী ও নতুন চাকা খুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে দাবি করেন। এতে তার ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় হাসেম, চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার সহ সংঘবদ্ধ চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সিএনজি চালক মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি চালককে আটক করলেও অপর ৩ জনকে কেন আটক করা হয়নি এবং সিএনজি গাড়ি কেন জব্দ বা উদ্ধার করা হয়নি এবিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন, পরবর্তীতে সিএনজি গাড়িটি মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ জব্দ করেছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর