পরিমল বিশ্বাস,বাঘারপাড়া যশোর সংবাদদাতা : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের রাস্তারপাশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই বট গাছটি। দীঘির পাড়ে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই পুরাতন বটগাছটি।সোমবার (২ ডিসেম্বর ) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বট ও পাকুর মিলে বিশাল জায়গাজুড়ে কাল্পনিক এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। বট গাছের কাণ্ড থেকে কাণ্ড শাখা থেকে প্রশাখা মাটিতে লুটে পড়ে আরেক বটগাছের জন্ম দিয়েছে।কাণ্ডগুলো দেখলে বোঝার উপায় নেই যে এটির মূল শাখা কোনটি। লতা থেকে মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি বটগাছ এভাবে অনেকটা জায়গাজুড়ে এক অন্যরকম সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছে স্থানটি।আজমপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যান্ত হাজার হাজার মানুষ আসে এই বটগাছ ও দিঘি দেখতে।রায়হান নামের এক দর্শনার্থী বলেন, শুনেছিলাম এখানে অনেক পুরাতন বটগাছ আছে আজকে দেখতে আসলাম। দিঘির পাড়ে বটগাছ দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে, চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে এমন বটগাছ আমদের এলাকায় নেই। দেখে খুব ভালো লাগছে এখন থেকে মাঝেমধ্যেই আসব।বট গাছগুলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে সেটি হলো ওপরের দিকে একটু বেড়ে অনেকদিকে বিস্তার লাভ করে বেশ বড় জায়গা দখল করে তখন এই উদ্ভিদগুলোর ওপরের অংশের ভার বহন করার জন্য ঠেসমূল গঠন করে তারা। মূল কাণ্ড থেকে আস্তে আস্তে মাটিতে ঠেসমূল নেমে আসে তখন ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকে। মূল যে কাণ্ডটা তার থেকে বয়সের সাথে সাথে আরো তৈরি হয় যাতে গাছের ভার বহন করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে বিশাল জায়গাজুড়ে একে একে বিস্তার লাভ করে কাণ্ডগুলো। বটগাছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করা যায়।