রনি হোসেন, কেশবপুর :
কেশবপুরে ঐহিত্যের পাঁজিয়ার ‘রসগোল্লা’ বেশ জনপ্রিয় একটি নাম। পাঁজিয়ার রসগোল্লার ছিল নামডাক। আজও পাঁজিয়ার রসগোল্লা তার স্বাদ বজায় রেখেছে। রসগোল্লা শুধু একটি মিষ্টি নয়,বাঙালির জীবনযাপনের সঙ্গে জুড়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
কেশবপুরের পাঁজিয়া বাজারের বিখ্যাত এই রসগোল্লার নাম ছড়িয়ে আছে সবার মুখে। দেশ-বিদেশেও যায় পাঁজিয়ার রসগোল্লা। বহিরর্বিশ্বের মানুষ ও করে সুনাম।বিখ্যাত রসগোল্লার ঐতিহ্য রয়েছে বহুবছর ধরে।
মিষ্টিপ্রেমীকদের কাছে সব সময়ই এই রসগোল্লার চাহিদা আছে। স্বাদে–মানে মানুষের মনে জায়গা ধরে রেখেছে এই রসগোল্লা। কেশবপুর পৌর শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রসগোল্লা প্রেমীকরা ছুটে আসেন পাঁজিয়ার ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লার স্বাদ নিতে। শত বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে ঐহিত্যের পাঁজিয়ার ‘রসগোল্লা’ নাম ছড়িয়ে আছে।
উপজেলার পৌর শহর থেকে রসগোল্লা খেতে আসা সোহেল রানা বলেন, পাঁজিয়ার রসগোল্লার স্বাদ আমার মন কেড়েছে, রসগোল্লা খাওয়া আমার নেশায় পরিনত হয়েছে।
রসগোল্লা প্রেমিক অঞ্জন কুন্ডু বলেন, পাঁজিয়ার লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লার স্বাদ অতুলনীয়। আমি এ দোকানের রসগোল্লা দেশের বাইরেও নিয়ে গেছি। বহিরর্বিশ্বেও পাঁজিয়ার রসগোল্লার সুনাম রয়েছে।
রসগোল্লা তৈরির কারিগর আতিয়ার রহমান বলেন, গরুর দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করা হয়। সব কিছু খাঁটি জিনিস দিয়ে তৈরির কারণেই রসগোল্লা সুস্বাদু হয়। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি এ রসগোল্লা তৈরি করে আসছে বলে জানান।
পাঁজিয়ার লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সংজয় দাস বলেন, আমার দোকানে তিন পুরুষ ধরে তৈরি হয়ে আসছে রসগোল্লা। মানুষের মুখে মুখে আমাদের দোকানের রসগোল্লা নাম ছড়িয়ে আছে। তিনি আরো জানান, তাঁর রসগোল্লা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন’শ টি রসগোল্লা বিক্রি হয়।