মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
রনি হোসেন, কেশবপুর:
আজ ২৯ জুন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের রূপকার মহাকবি মাইকেল মদুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী। উনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি কপোতাক্ষ নদ কবিতা রচনার মাধ্যমে দেশাত্মবোধের নতুন মাইলফলক স্থাপন করেন।
মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবী।
মহাকবি মধুসূদন যৌবনে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে মাইকেল মধুসূদন নাম গ্রহণ করেন এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের দুর্নিবার আকর্ষণবশত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে নিজের মাতৃভাষার প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। এই সময়েই তিনি বাংলায় নাটক, প্রহসন ও কাব্যরচনা করতে শুরু করেন।
মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য তার শ্রেষ্ঠ রচনা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি: দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি।
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেয়া মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নাটকীয়তায় ভরা এবং বেদনাঘন।
এ মহাকবির জন্মের কারণেই সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ জগৎবিখ্যাত। কালের প্রবাহে কপোতাক্ষ নদের যৌবন বিলীন হলেও মাইকেলের কবিতার কপোতাক্ষ নদ যুগে যুগে বয়ে চলেছে।
১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ মহাকবি। কলকাতায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।