পরিমল বিশ্বাসঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।হিন্দু পূরাণ মতে- কালী দেবী দূর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে- শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) কালী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী- কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামের মধ্যে দিয়ে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেণী মাধব শীলের পঞ্জিকা অনুসারে, কার্তিক অমাবস্যা তিথি ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বেলা ৩ টে ৫২ মিনিটে। অমাবস্যা তিথির অবসান হবে ১ নভেম্বর ২০২৪ বেলা ১২টা ৪৮ মিনিটে। পূজোর জন্য শুভ সময় থাকবে ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। মা কালীর পূজো সারা রাত ধরে চললেও এই এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই মা কালীর আরাধনার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
যশোরের কালী বাড়ির মন্দির, পুলিশ লাইনের পাশের মন্দির,মাড়োয়ারি মন্দির, নীলগঞ্জ শ্মশান কালীমন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, বেজপাড়াসহ বিভিন্ন মন্ডপ ও মন্দিরে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল বাশার, নির্বাহী সম্পাদক: মীর মোশাররফ হোসেন, বার্তা সম্পাদক : মেহেদী হাসান রিপন
সতর্কীকরণ : এই পোর্টালের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।