নোয়াখালী প্রতিনিধি: চাটখিলে তাবিজ- তুমারের ব্যবসা তান্ত্রিক মন্ত্র দিয়ে ও খারাপ চালানের মাধ্যমে ক্ষতি করা জমজমাট ব্যবসার আকার ধারণ করে আসছে মৃত, সৈয়দ আহমদ (দইলা মাঝির) ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫১)। অভিযোগ পাওয়া যায় জাহাঙ্গীর আলম তাবিজ- তুমারের তান্ত্রিক মন্ত্র ও খারাপ জিনের চালান দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে হাজার হাজার, লাখ- লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দিনের পর দিন টাকা ও সম্পদের ও বাড়ির মালিক হচ্ছে এই তাবিজ ব্যবসায়ী। এতে করে সমাজের সাধারণ মানুষেরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। জাহাঙ্গীর আলমের এইসকল তান্ত্রিক মন্ত্র ও খারাপ জিনের চালান দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা কিংবা মানুষের ক্ষতি করা ও প্রতারণা থেকে রক্ষা করার কেউ নেই। এই তাবিজ ব্যবসায়ীর দাপটে আলেম সমাজের লোকজন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড ফাওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হাফেজ নামে পরিচিত। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ খারাপ জিনের চালান করে জিনের মাধ্যমে ভুত দৌড়ানোর মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করে আসছে ও তাবিজ- তুমারের ব্যবসার মাধ্যমে সাধারণ নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে হাজার – হাজার লাখ – লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তান্ত্রিক মন্ত্র খারাপ জিনের চালান দিয়ে অবৈধ তাবিজ ব্যবসায় চালাচ্ছে। ইসলাম ধর্মে ঝাড়ু ফুঁ, তেল ও পানি পড়া জায়েজ আছে। খারাপ জিনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা তাবিজ – তুমার দেওয়া ও তাবিজ দিয়ে টাকা রোজগার করা সম্পূর্ণ হারাম। এমনকি তাবিজ – তুমারে বিশ্বাস করাও শিরক। কিন্তু এ আলেম সেজে ও হাফেজ সেজে টাকার লোভে এই নাজায়েজ কাজ করে সমাজে ফেতনা সৃষ্টি করেছে। এর খপ্পরে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তবে তার তাবিজ তুমার কুফরির ভয়ে ও মানসম্মানের ভয়ে তা প্রকাশ করতে চায় না কেউ। কিছুদিন আগে চাটখিল প্রেসক্লাবের সদস্য, ও চাটখিল উপজেলার (বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি- বাসাস প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক লিটন এক ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন তার জিনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। গত শনিবার (০২ নম্বরের) চাটখিল থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগর তদন্ত আমজাদ হোসেন, রবিবার (০৩ নম্বরের) সরজমিনে গিয়ে জানতে পারে জাহাঙ্গীর আলম ঝাড় ফুক ও কুফরি খারাপ জিনের চালান মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করে আসছে। পরে অভিযোগ কারীর স্বাক্ষীরা সঠিক স্বাক্ষী দেওয়ার পরেও এসআই তদন্ত আমজাদ হোসেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বলেন থানায় গণ্য মান্য কয়েকজনকে নিয়ে যাবার জন্য পরে অভিযোগ করাী ও বিবাদী জাহাঙ্গীর সহ থানায় গণ্য মান্য কয়েকজনকে নিয়ে গেলে জানাতে পারেন জাহাঙ্গীর কবিরাজি করে খারাপ জিনের চালান দিয়ে মানুষের ক্ষতি করে ও ঝাড় ফুক দেয়। এরপর এসআই তদন্ত আমজাদ হোসেন একসপ্তাহের সময় দেয় গ্রামে মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য। একসপ্তাহে মধ্যে অভিযোগ কারীর কাছে কেউ আসে নাই মিমাংসা করার জন্য। এসআই তদন্ত আমজাদ হোসেন এই অভিযোগ সমাধান হয়েছে কিনা জানতে চায়নি অভিযোগ কারীর কাছে। এলাকায় আরো কয়েকজন জাহাঙ্গীরের কুফরি ও তান্ত্রি মন্ত্র খারাপ জিনের চালান ধারায় ক্ষতি গ্রস্ত হয়। যার প্রমাণ ক্ষতি গ্রস্ত মানুষ গুলোর কল রেকর্ড প্রমাণ হিসেবে থানায় অভিযোগ কারীর কাছে আছে। অভিযোগ কারীসহ ক্ষতি গ্রস্ত কারীরা উপস্থিত সাংবাদিক জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনা পত্রিকার চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধির কাছে তার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন তাকে আইনের আওতায় আনা হলে তার সাথে কে কে আছে এবং কে কে মানুষের ক্ষতি করায় তাহার সত্যতা নিশ্চিত হব। এই তাবিজ – তুমার সম্পর্কে অনেক আলেমের কাছে জানতে চাইলে তারা সবাই বলেন, ইসলাম ধর্মে ঝাঁড়-ফুঁ তেল ও পানি পড়া দেওয়া জায়েজ আছে। তবে জিনের চালান করে জিনের মাধ্যমে ক্ষতি করা তান্ত্রিক মন্ত্র ও কুফরি, করে তাবিজ দেওয়া ও তাবিজ দিয়ে টাকা নেওয়া হারাম। যারা এই অবৈধ কাজ চালিয়ে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে মহিলাদের কে তাবিজ তুমারের প্রতি আকৃষ্ট করে শিরকের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হাফেজে এর সঙ্গে এব্যাপরে যোগাযোগ করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযোগ কারীরকে এসআই তদন্ত আমজাদ হোসেন নিয়ে গেলে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ কারীকে দৌড়াই আসে চোখের মধ্যে আঙুল ডুকিয়ে দিবে বলে এবং তার স্ত্রী খারাপ ব্যবহার করলে এসআই তদন্ত আমজাদ হোসেন তাদেকে থামানোর চেষ্টা করে তারপর তারা আক্রমণ করা বন্ধ করে। অভিযোগ কারী থানায় সঠিক বিচার না পেয়ে, পরে রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে আসেন। চাটখিলের আলেম সমাজ সহ সচেতন মহল এসব তাবিজ হুজুরের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সকল সু – দৃষ্টি কামনা করছেন।