স্টাফ রিপোর্টার।।
কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান শুক্রবার দুপুরে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যাচার করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করছেন, কেশবপুর উপজেলার মধ্যাকুল গ্রামের ঘের ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মূলত মফিজুর রহমান একজন ভূমিদূস্য তিনি আমার ঘের জোরপূর্বক দখল করে কোটি টাকার মাছ লুটের পরিকল্পনা করে আসছে। আমি বিষয় টি বুঝতে পেরে আদালতের দারস্থ হওয়ায় মফিজুর রহমান শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে ঘেরের বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তিনি আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেখানে বর্তমান সংসদ সদস্যের কে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে বিষয় টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে ঘের দখল করতে চাচ্ছে। মফিজ একটি রাজনৈতিক দলের কার্যলয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার মালিকানাধীন ঘের নিজের বলে দাবি করেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত মফিজের লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গত জানুয়ারি মাসে এক তৃতীয়ংশ জমির মালিক গণ নতুন করে ন্যাজ্য মূল্যে আমার নিকট ঘেরের ডিড করে দেয়। এরপর আমি ঘেরে প্রায় ৮০ লাখ টাকার মাছ ছেড়ে নিয়মিত মাছের পরিচর্যা করে আসছি। মফিজ বিভিন্ন ভাবে আমার কাছ থেকে ঘের নিতে না পেরে এখন জোর পূর্বক ঘের দখলে নিতে ঘেরের বিষয় টি রাজনৈতিক ইস্যু বানাচ্ছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জাহাঙ্গীর আলম আরো জানান, ইতিপূর্বেও মফিজুর রহমান সুলতান নামে এক ঘের ব্যাবসীর নিকট থেকে জোরপূর্বক ঘের দখল করে ৪ কোটি টাকার মাছ লুট করেন। সুচতুর মফিজ নিজের দুর্নীতি ও অপকর্ম আড়াল করতে নিজের বিষয় কে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে বর্তমান সংসদ সদস্যের নাম জড়াচ্ছে এবং আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে সেখানে সংসদ সদস্যের নামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে ধরে রাজনৈতিক ক্ষসতার দাপট দেখিয়ে আমার ঘেরের মাছ লুটের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।