রনি হোসেন, কেশবপুর-
বাঙালির শখের খাবার হলো পিঠা। এদেশে এমন মানুষ কমই আছে যারা পিঠা পছন্দ করে না। বাঙালির এই পিঠার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নে নানান পদের মুখরোচক পিঠা-পুলি নিয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাঁজিয়া দেশ সংগীত বিদ্যালয়ের আয়োজনে শনিবার ও রবিবার দুই দিনব্যাপী পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৭টি স্টলে প্রায় ৫০ধরনের পিঠা নিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পিঠা উৎসবকে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। সব মিলিয়ে পিঠা উৎসবটি পাঁজিয়া ইউনিয়নে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
পিঠা উৎসবে ভাঁপা পিঠা, কুলি পিঠা, চিকন পিঠা, লাভ পিঠা, কলমি ফুল, গোলাপ পিঠা, ঝাল পোয়া, মিষ্টি ফুল, সূর্যমুখী, ঝিনুক, জবা, ইলিশ, নকশি, মিষ্টি কুমড়া, পাতা পিঠাসহ প্রায় ৫০ রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ শিক্ষার্থীসহ গৃহবধূরা। পিঠা উৎসবে নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ভিড় করেন।
পিঠা উৎসব দেখতে আসা সুমি খাতুন বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন প্রতিনিয়ত করা উচিত। তবেই আমরা বাঙ্গালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবো।
এলাকাবাসী এই আয়োজনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এই ধরনের আয়োজন খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে বাড়িতে বাড়িতে পিঠা তৈরি হয়, কিংবা রাস্তার মোড়ে ভাঁপা পিঠা তৈরি করা হয়। কিন্তু একযোগে ঐতিহ্য তুলে ধরার কাজটি কম হয়। এই আয়োজন যেন নিয়মিত হয় এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন আয়োজনে আগত অতিথিরা।