মোজাম্মেল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায় ওয়াহাব-তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নিহত সামিয়া আক্তার (২৫) উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামের নতার বাড়ির মো. মুরাদের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মুরাদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার স্ত্রী সামিয়া কে তিনি ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে আসেন। পরে দুপুর ২টার দিকে ডাক্তার ফারহানা তাকে সিজার করেন। সেখানে অপারেশনের আগে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ছাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার দিয়ে ভুলভাবে সামিয়ার শরীরে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়। এতে সঠিকভাবে রোগীর শরীরে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা যায়নি। পরবর্তীতে সিজার করে, নবজাতককে পেট থেকে বের করেনি। রোগী মারা যাওয়ায় পুনরায় সিজারের স্থানে সেলাই দিয়ে আমাদের কে কুমিল্লা পাঠায়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান রোগী আগেই মারা গেছে। তিনি আরও বলেন, পরে সন্ধ্যার দিকে তারা সামিয়ার মরদেহ নিয়ে ওয়াহাব-তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে আসলে ওই সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানায় এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পরে পুলিশ মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জন দুজনই অভিজ্ঞ ছিলেন। তারা গত ১০ মাস যাবত এখানে অপারেশন করে আসছেন। রোগীর অ্যানেসথেসিয়া করা হলে রোগী হার্ট স্ট্রোক করে। এই কারণে আর সিজার করা যায়নি। স্ট্রোক করার কারণে যেহেতু আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। তাই রোগীকে এখানে আর রাখা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহর মাইজদীতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীর স্বজনেরা তাকে কুমিল্লা নিয়ে যায়।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ইমদাদুল হক শনিবার (০৮ জুন) সকালে জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা।